সঠিক রোগ নির্ণয়ে প্রশিক্ষিত ডাক্তার তৈরীতে মেডিকেল কলেজে প্যাথলজি শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ২২ ডিসেম্বর , ঢাকা, গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়লেও সে হারে বাড়েনি প্যাথলজি শিক্ষকের পদ। একই সাথে সরকারি পর্যায়ে এক যুগ ধরেও হয়নি কোন টেকনোলজিস্টের নিয়োগ। যার ফলে চিকিৎসা শিক্ষায়ও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত ডাাক্তার ও জনবল তৈরী হচ্ছে না । ব্যাহত হচ্ছে সঠিক রোগ নির্ণয় ও উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা প্রদান। আজ ২২ ডিসেম্বর , রাজধানীতে বাংলাদেশ একাডেমী অফ প্যাথলজীর ৬ষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে। বক্তরা বলন, সঠিক রোগ নির্ণয়ে প্রশিক্ষিত ডাক্তার তৈরীতে মেডিকেল কলেজে প্যাথলজি শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে সেবা প্রদানের জন্য ও নেই পর্যাপ্ত প্যাথলজিস্ট ও টেকনোলিজস্ট। বিভিন্ন রোগ নির্ণয়, বিশেষ করে ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ে সারা দেশে রয়েছে প্রযুক্তিগত অপ্রতুলতা। ফলে প্রান্তিক পর্যায় থেকে ঢাকা বা বিদেশমুখী হতে হচ্ছে ক্যান্সার রোগীদের। বাড়ছে চিকিৎসা খরচ ও বিড়ম্বনা। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সাইফুল হাসান বাদল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এবিএম খুরশীদ আলম ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ একেএম আমিরুল মোর্শেদ। অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ শামিউল ইসলাম। সভায় বিভিন্ন দাবী ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন একাডেমীর বর্তমান সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ শাহেদ আলী জিন্নাহ। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ গোলাম মোস্তফা সারা দেশ থেকে আগত প্যাথলজিস্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ও প্যাথলজি শিক্ষা, সেবা ও প্রশিক্ষনে একাডেমীর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। উল্লেখ্য ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ একাডেমী অফ প্যাথলজী সারা দেশে প্যাথলজি শিক্ষা ও সেবার মানোন্নয়নে এবং প্যাথলজিস্টদের স্বার্থ রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের ক্যান্সার রোগ নির্ণয় গবেষনায় একাডেমীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
Leave a Reply